Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

পীর কেবলার বার্তা

আল্লাহ’র প্রিয় বান্দা কে?

اَلْحَمْدُ لِلهِ الذَّىْ دُعِىَ بِاالْاَسْمَاءِ الْحُسْنَى فِىْ الْاَوْقَاتِ الْخَمْسِ مِنَ الْجَوَاهِرِ الْخَمْسِ  وَ الصَّلَوَةُ وَ السَّلَامُ عَلَى حَبِيْبِهِ

আম্মা বা’দঃ মানব জাতি আল্লাহ তায়া’লার উত্তম মাখলুক; এই জন্য তিনি তাদেরকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামসমূহের দ্বারা জিকির বা স্মরণের আদেশ করেছেন।

তাসবীহ ও ছালাত উদ্দেশ্যগতভাবে একই অর্থাৎ আল্লাহ তায়া’লার জন্যই তাসবীহ ও ছালাত পাঠ করা হয়। সালেক যখন মা’রেফাতের ছুবুত বা নির্দশন পেয়ে প্রস্তুত হয়; তখন সে তাফরীদে বা নির্জনতায় নিজেকে ফানা বা বিলীন করে ফেলে। অর্থাৎ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রেমে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। আর ইহাই হচ্ছে আহলে হক বা ছাদিকীন (সত্যবাদী) গণের মর্তবা; যাঁরা মহা-মহিম আল্লাহ তায়া’লাকে ছিফাতে জালালী’র মাধ্যমে জেনেছেন এবং আলাদা আলাদাভাবে পরিপূর্ণভাবে রবূবিয়াৎ ও তাঁর প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনা করেছেন। আর তাঁরা নিজ নিজ জাত বা স্বত্তাকে আল্লাহ তায়া’লার নিকট সোর্পদ করে আব্দিয়াতের বা গোলামীর জেলখানায় শিকলবন্দী রেখেছেন। 

তাসবীহ পাঠ ঐ সময় পর্যন্ত শুদ্ধ হবে না; যতক্ষন সালেক নিজ নফস বা ইচ্ছাকে সকল প্রকার আকাংখা বা স্বাদ হ’তে এবং ইমানকে বিভিন্ন প্রকার খেয়াল ও ছুরত হ’তে আজাদ বা মুক্ত না করবে। অনুরুপভাবে, আকল (বিবেক) কে নিজের প্রশংসা ও বড়ত্ব হ’তে এবং নিজ দেহ বা শরীরকে অসৎ আচরণ ও হারাম খাবার হ’তে মুক্ত রাখা শর্ত। উপরোক্ত স্বভাবজাত লিপ্সা হ’তে নিজেকে পবিত্র না করতে পারলে কোনভাবেই তার (সালেকের) নিকট এসমে জাত ও এসমে ছিফাত প্রকাশিত হ’বে না। 

তাসবীহ এর প্রকৃত অর্থঃ- আসা-যাওয়া। আওলীয়ায়ে কেরাম বলেছেনঃ সাঁতার দেওয়া, অর্থাৎ সির্রে বাতেন (গোপন রহস্যে) থেকে আ’লমে মালাকুতে (ফেরেস্তা ও রুহ জগতে), এবং জাবারুত (আ’জমত) ও প্রকৃত অবস্থা এবং উহার উপযুক্ত প্রশংসার স্থান লতিফা সমূহ সায়ের বা ভ্রমন করা। সালেক বা আল্লাহ অন্বেষণকারী নিজ জিকির দ্বারা কলবের সাগরে সাঁতার কাটে; মুরিদ নিজ কলবের সহিত বাহরে ফিকিরে বা ধ্যানের সাগরে ও রুহের সহিত বাহরে শওকে বা উদ্দেশ্যের সাগরে; আ’রেফ আসরার বা রহস্যসমূহের সহিত বাহরে গায়বে বা অদৃশ্য সাগরে; এবং ছিদ্দীক নিজ আসরার এর সহিত “বাহরে আনওয়ারে কুদসীতে” বা পুৎ জ্যোতিসমূহের সাগরে সাঁতার কেটে থাকেন। এই কারনেই রাসূলে করীম (ছাল্লাল্লাহু আ’লায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ 

اَللَّهُمَّ لَآَ اُحْصِىْ ثَنَاءً عَلَيْكَ اَنْتَ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

অর্থাৎ “হে আল্লাহ, আমি তোমার ঐরুপ প্রশংসা করতে অক্ষম; যেরুপ তুমি নিজেই নিজের প্রশংসা করেছ” (ছহীহ মুসলিম)। 

হুজুর (ছাল্লাল্লাহু আ’লায়হি ওয়া সাল্লাম) আরোও এরশাদ করেছেনঃ চুপ থাকার মধ্যে আল্লাহ তায়া’লার মা’রেফাৎ অর্জন; নির্জনতার মধ্যে দুনিয়ার মা’রেফাৎ অর্জন; ক্ষুধার্ত থাকার মধ্যে শয়তানের মা’রেফাৎ অর্জন; এবং অল্প নিদ্রার মধ্যে প্রকৃত মা’রেফাৎ অর্জন নিহিত আছে। 

সুতরাং আল্লাহ তায়া’লা তাঁর উত্তম সৃষ্টি মানব জাতিকে অযথা গল্প-গুজব হ’তে রক্ষা করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

-পীর কেবলা নাজিরপুরী



Post a Comment for "পীর কেবলার বার্তা"